Posts mit dem Label কবিতা werden angezeigt. Alle Posts anzeigen
Posts mit dem Label কবিতা werden angezeigt. Alle Posts anzeigen

Mittwoch, 3. September 2008

হাসপাতাল

পরাজিতরা মাথা হেট করে চলে যাবে
আর বিজয়ীরা আনন্দে লাফাবে
লাফাতে লাফাতে যখন মুষড়ে পড়বে
আমি তখন আনন্দের ক্ষণস্থায়ীত্ব দেখে মুচকি হাসি
চোখ কথা বলে। বহুকথা না বুঝে বুঝে প্রেমে পড়েছি বহুবার
আর তাতে আমার এ অগোছালো জীবন আরো বেশি ঝড়ো কাক হয়েছে
টিনের চালে বৃষ্টি..পতনের শব্দ অধোপতনেরো
গড়িয়ে গড়িয়ে কতদূর?
তবু আমি ঠিকই টের পাই বৃষ্টি আর রঙিন প্রজাপতির শত্রুতা
আর সেই ছোট্ট মেয়েটা- যার আদরের বাড়াবাড়িতে ঘর ছাড়তে চায় না বেড়ালটা
অথচ বাড়ির সব্বাই তাকে বের করে দেয় রাস্তায়।
সেই মেয়েটা যার হুহু কান্নায় অভিভূত মুগ্ধ হয়ে আমি তাকে পড়াই
রবারি মানে ডাকাতি।
আর এই ঘোর আধুনিক কালেউ
জানি, আমার পায়ের আঙ্গুলের ক্ষত
ঢের বেশি কষ্ট দেবে
তবু আমি হাসপাতালে যাব না।

বাঘ মানাগুয়া দৌড়াচ্ছে

বস্তুত ফালতু বকে লাভ নাই।
কারণ ভর্দলোকেরা ফালতু বকা ভালবাসে না।
অথচ কী মুশকিল, ভর্দলোক ছাড়া ফালতু বকে মজাউ নাই খুব এট্টা
এই যখন দশা, তখন নিকারাগুয়া এক পিলে চমকানো
সম্বাদ দিল, উহাদের দেশে নাকি সুন্দরী মেয়েরা
ফালতু খেলতে ভালবাসে। ডাল তরকারি খেয়ে দিনরাত বসে থাকে ফালতু খেলবে বলে।
এই সম্বাদ পেয়ে চলে গেলাম নিকারাগুয়ার ঘন জঙ্গলে।
জঙ্গলে বানরেরা ধরল পরথম। কীরে ফালতু খেলতে এয়েছিস?
বললাম, জ্বি হা। ফালতু খেলতেই এয়েছি। বানরেরা পোদ ফাটিয়ে হাসল, সেই শব্দে বাঘ আসল। এসেই বানরদের উদ্দেশ করে বলল, কীরে মাল পেয়েছিস ফালতু খেলার?
বানরেরা উত্তর করল, জ্বি হা জনাব, মাল পেয়েছি বৈকি। সামনেই দণ্ডায়মান। এরপর কিছু বুঝার আগেই বাঘ অামাকে ডাল তরকারি ছাড়াই ফালতু মেরে দিল। এবং তার পেটের ভিতর ঘুমিয়ে পড়তে পড়তেই টের পেলাম, বাঘ মানাগুয়া দৌড়াচ্ছে ফালতু খেলবে বলে।

২ আগস্ট ২০০৭

মোনালিসা

ময়না নামের যে পাখিটা আমাদের সঙ্গে পিরাইভেট পড়তো
তাকে ভালবাসতাম কি-না জানি না, তবে তার কবুতরের মাংস
খাউয়ার জন্য ভাতখুর বিশ্বাস (ভাস্কর বিশ্বাস, যে অনেক ভাত খাইতো) গামলায় ভাত নিয়া হামলে পড়ল।
আর ছিল শ্যামা, যার পুরুষ্ঠু ঠোঁঠের উপরটা ছিল মৃদু ঘামে ঘামা। কাজি সোহেল শরীফ কিংবা হাজামিন ফজলে রাব্বি মিঠু অথবা কালা পুলক, যার পকেটে প্লাস্টিকের মৎস্যবাটউলা চাকু ছিল সদা প্রস্তুত। আম কাটার তরে। তারা সবাই জমেছিল শ্যামার মুক্তোমার্কা ঘামে।
আমি শালা ফেরেব্বাস আজীবনের পাগলা ঘুড়া
নেচেছিলাম মোনালিসার সইনদর্য্যে-সেই কত্তো ছোটবেলা!
ভাবলেই ভালো লাগে।

২৫মে ২০০৭

চৈনিক মেয়েরা

শুনেছি, চৈনিক মেয়েরা বণিক পুরুষদের শরীর খেতে দেয়
পাটিসাপ্টা পিঠাপুলির মতোন। ঘাপ্টি মেরে বন্ধুদের কাছ থেকে এইসব মজাদার গল্প শুনে দৈনিকি চৈনিক মেয়ের পাটিসাপ্টা পিঠা, রিঠা মতস্য সহযোগে খাই।
স্বাদ কেমুন জানতে চাইলে রিঠা মৎস্যই প্রকৃষ্ট উদাহরণ তাহার। কিন্তু তাহারপরো উচুঁ চুঁচি আর ছোট পুশির গপ্প আজীবনই গপাগপ গিলেছি। পিলেচমকানো ধড়াশ ধড়াশ বুকে প্রচুর কাফাকাফিসহযোগে শুনেছি, শুধু ইংরেজি জানা থাকলেই কেল্লাফতে। অরা মারতে দেয় প্রচুর মার। মারকাটারি করতে দেয় উলুবনজুড়ে ঘুলুঘুলু।
ছোট্ট পায়ে নাথি কষায় নিঙ্গে। ভেঙ্গে ফেলে শইলের সমস্ত আইঢাই। ঘাইঘাই না করে বরং সঙ্গীতের সুমিষ্ট পান করায় ফুং ফাং ফু ফাং কথা কয়ে।

৯মে ২০০৭

ঘাসখাওয়া বিড়াল

সত্যিকারের বাঘ কখনো ঘাস খেতে ভালবাসে না
যদিও পিথিমীর যাবতীয় জাতীয় খাদ্যই এখন ঘাস।
তাই ফালতু নিকারাগুয়া মেরে লাভ নেই।
লাভ নেই ফসিল তুলে ফাজিলদের হাসাহাসির খুরাকি দেয়ায়।
দেয়া নেয়ার সিন মডান অামলেই ফুরিয়ে গেছে
পোস্ট মডান আমল খালি নেয়। মানাগুয়াটাকে ফানা ফানা করে মেরে হলদ্যা রঙের ট্যাক্সিক্যাব দৌড়ায়। ম্যাক্সিপরা মেয়েরা আনন্দদায়কভাবে মোচড় দেয় শইল। তাতে তাদের পক্কু দেখা যাক বা না যাক আমাদের মতো ভুদাই বালকেরা গাড়ির মতোই চোখটাকে উঠিয়ে দেয় ম্যাক্সিপরা মেয়েদের বুক্কের ঢালু রাস্তায়। ডাইনে বাঁয়ে না ঘুরিয়ে।
তাই সত্যিকারের বাঘ বলে কিছুই আর নেই।
যা আছে সবই ঘাসখাওয়া বুকবিড়াল।

৬ মে ২০০৭

একটা বিনম্র কাকাতুয়া

একটা বিনম্র কাকাতুয়ার ফাঁদে পড়ে
নিজেকে হারিয়ে ফেললাম একটা বৃক্ষডালে
কাকাতুয়াটাকে নিকারাগুয়ার মেয়েদের মতো
ভালো দেখাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল উ শালা কুনো পাখি না
শুধুই নিকারাগুয়ার ভালো মেয়ে। যারা যে কাউকেই প্রেম খাউয়াতে দ্বিধা করে না। দ্বিধা করে না বুকের ভিতরের উলুবন দেখাতে। তার সুগন্ধি তাপ পুহাতে। গুহাতে আদর করে চাপড়ো মারে ক্ষণে ক্ষণে । ভাল লাগলে খেতে দেয় তার পান্তোয়া শরীর। চেটেপুটে, ঘেটেঘুটে। ছেনেছুনে।
তাই বৃক্ষ ডালে জমে থাকা বিনম্র কাকাতুয়া
আমাকে আজ বেধেঁ ফেলেছে পথিমদ্ধে।

২৮ এপ্রিল ২০০৭

রাবণের সুমতি

নিকারাগুয়া এবং প্রস্তাবিত ধানক্ষেত একসাথে ছিল না। তাই বন্দিসদের ইবাদদ বন্দেগি জিন্দেগিতে হলো না।
চির বিস্ময়ের ব্যাপার হলো ভালো তরকারি থাকলে ভাত খাওয়াটা বেশি হইয়্যা যায় আর চিকন চাইল দাঁতে বাজে না। যেজন্য মুটা চাইল খাই। গাইল শুনতে কারোরই ভালো নাগে না, বুঝি। কিন্তু না দিতে পাইর্যাও কারো কারো খারাপ লাগে না-এইড্যা অবিশ্বাস্য। এতগুইল্যা সত্যি কতা কওয়ার পরও যদি পহটে মাত্র 30 ট্যাহা থাহে তাইলে তো খারাপ।
খুব খারাপ এই যীবন। যৌবনে ইস্ফূর্তি করার পয়সা জোটে না। ফোটে না ফুলের বনে মোড়ব্বা মার্কা মেয়েদের রসালো মৌবন। ধানক্ষেত পাটক্ষেত মরে যাক প্রেমের আলিঙ্গনে। ক্ষতি কি যদি সুমতি এ জনমে নাও ফিরে?

৩১ মার্চ

দুদনইজম

যখন ক্লান্তি অক্লান্তি খসে পড়ে রোদ্দুরে
বহুদ্দূর হাঁটার পর সুমন চৌধুরী অযথাই হাসে
ফ্যাক ফ্যাক করে হাসে।গাক গাক করে হাসে। হাসে আর ঝালমুড়ি খায়
বাদাম চানাচুর খিলায় বিলায় হেলায় অবহেলায়
বিজ্ঞান কিংবা অপবিত্র ঘুড়া বেনামি পুঞ্জিপাট্টা
সাফসুতরো, বিওভল, হাকান শুকের, খন্দকার ফারুকুজ্জামান, মদ খাওয়া। ডেণ্ডাবর। চিল পাখি, খাকি ক্যাম্বেল আলফাতুন কিং আফলাতুন। চুম্বন রমণ লিঙ্গ বমণ, নটিবাড়ি গমন। ডিম খাওন। ছির্যা হাবড়ি। মাউরি উফজাতি। বুকা চুদা, চালাকচুদা । বিংবল পাথর। টেরাকোটা হবিষ্যি। রাম ঠাপ। রাবণ ঠাপ। হেড়িম্বা। দাবনা। লিবিডব। কাঁফাকাফি।
বিস্কুট। কানে জবা ফুলালা পাগল, ঝালমুড়ি কোড়া কোড়া বাল। ঘিত্তা মদু। ম্যাডামের প্যাটে কোক, গাঞ্জা খাওয়া। পালতুলা ঘুড়া। বিজ্জান কোনো অবিমৃষ্যকারী নয়। নৈঙ্গিক নাজনীতির খপপড়ে পড়ে আমি আমার বাজে কথা হারাচ্ছি। মাড়াচ্ছি সাপের মাথায় পা দিয়ে কী হবে? ভাবনা ভাবনা কেন, বাল ফালিয়ে? কে কবে বড় হয়েছে। আজিম ভাই আজিম বিরাদার। আই হেট অল হাফ মার্কসিস্ট। তুমার তো মিয়া চেহারাই হয় না। এই আর যাবে কুথায়? ঘুষা খাইয়া রামু, স্যার স্যার নীচে নাইম্যা আসেন আমার উফরে হামলা হইছে। আমরা খালি হাসি আর হাসাই। আফনে ভাই কী করেন? আমি? আমি গুয়ামারা দিয়ে খাই। শালায় সিকারেট খায় কেমনে? এত্ত ধুমা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৭ মার্চ ২০০৭

ভিজ্যা বিড়্যাল

একটি সত্যিকারের ভিজা বিড়ালের অভিনয় করে যখন ধরা পড়লাম, তখন নিজেকে একটা পান্তোয়া গোত্রের ঘাটের মড়া মনে হলো। যে পেটের পীড়ায় ভুগে কুরে কুরে মরে গেছে, কোনো একদিন ভাত না খাওয়া সকালে।
বউ দৈনিকি রুটি দিত তারে, ভালো কোনো সালুন ছাড়াই , খালি গুড়া আলু ভাজি দিয়্যা।
খাইতে খাইতে এবং না খাইতে চাইতে চাইতে তিতিবিরক্ত হইয়্যা প্যাটের পীড়ায় ভুগা ধরল সে।
তার মনে হইলো, পিথিবী অন্ধকার হইয়্যা যাইতাছে
নইতো সে নিজেই আন্ধা হইয়্যা যাইতাছে।
এই দুইডার কুনোডাই যখন সঠিক বইল্যা মনে হইল না, তখন কী সঠিক হবে সেইড্যাও না ভাইব্যা পাইয়্যা এক দুচ্ছাই গোত্রের হশাতা তাকে বেদম পীড়ন দিল।
যেহেতু ওই এলাকায় কুনো চিনা হেন্দু নাই, তাই কিরন মাসীর কাছে উপোশী হিসাবে গিয়াও কোনো ফয়দা লাভের আয়োজনও ছিল নাই।
তাই কোনো গত্যন্তর না দেখে, নিজেকে ঝামেলা হিসাবে ট্রিট নিয়্যা ঘাটে খাড়ানো ইষৎ তাজা লুকটাই ঘণ্টাখানি পর ঘাটের মড়ায় পরিণত হল। কী এক সর্বনাশা অত্যাচারের ইতিহাস! পাতিহাসও যার জন্য কাঁদে না। রাজহাস কীভাবে? কী কারণেই বা কাঁদবে অনিশ্চিত কুনো ভিজা বিড়ালের দুঃখ অবলম্বনে? তাই নিরেট ভিজা বিড়াল এক ক্যারেট বেদনা নিয়্যা ঘাটের মড়া সাজতে ঘাটে গেল।
কিন্তু ঘাটে এক দঙ্গল আধ নেন্টা মেয়েদের স্থানকৃত্য দেখে ঘাটের মড়া সাজা হলো না তার। আর তখনই সে একটা সত্যিকারের ভিজা বিড়াল হিসাবে ধরা খেল ঘাটের আধ ন্যান্টা মেয়েদের কাছে। উহ কী ভীষণ সব্বোনাশ!

২৬ মার্চ ২০০৭

নিকেলের ঘুড়া

নিকেলের ঘুড়া বিকেল মাড়িয়ে গেল।
সকালের ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর কে যেন
হাতে বাজারের ব্যাগ ধরিয়ে দিল,
গুঁজে দিল ট্যাকে কিছু ট্যাকা।
ফালতু লাগলেও ডাল তরকারি গেলার আশায় বাজারে যেতেই হয়, তাই যাই।
নইলে কোন পৌষে বাজার নিজের ঘরে বসিয়ে নিতাম!
চাঁদ তারা আর সূর্যের গলফো ফেদে ভুদাই লোকদিগকে হাসাতাম আর হাসতাম।
হাসাতাম আর হাসতাম, বন্ধু সুমনের মতো টকেটিব লুককে কাছে পেয়ে।
তাই নিকেলের ঘুড়া বিকেল পেরিয়ে গেলে
ট্যাকে কুনো ট্যাকা নাই বলে বাসায় বাজার বসাই না কুনো কালেই।
অথচ রাজা হওয়ার সকল বৈশিষ্ট্যই ছিল আমার আর বন্ধুর সুমনের মাঝে।

২৩ মার্চ ২০০৭

বিল্লাল দারোগা

একটা তৃতীয় মাত্রার মিষ্টি বাঘ এবং একটা প্রচলিতঘুড়ার মধ্যে
বন্ধুতা স্থাপনের সুযোগটা গত মঙ্গলবার মাঠে মারা গেল।
অথচ এ কথা আকছারই শোনা যায়, বিল্লাল দারোগার ভয়ে
বাঘ আর প্রচলিত ঘুড়া একই খালে জল খায়।
ঘাস খায় একই মাঠে।
অথচ বিল্লাল দারোগা বেশিদিন বাঁচলো না
ওরে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে হিউজ বানাইছিল আমরিরা।
কারণ বিল্লাল শালায় আমরিরেও ঘাস খাওয়াইবার চাইছিল একই খালে। তাই মঙ্গলবার আসলেই এহন আর কোনো মিষ্টি বাঘ কিংবা প্রচলিত ঘুড়ার মধ্যে বন্ধুতা সম্ভব নয়।
কারণ বিল্লাল দারোগারে হিউজ বানাইছিল আমরিরা,
আইজ থিক্যা প্রায় দেড় দশক আগে।
তারপরই রাগে দুঃখে ক্ষোভে বিল্লাল মারা যায়
বাঘ আর ঘুড়ারে এক খালে জল খাওয়াইতে না পাইর্যা।

২১ মার্চ

আজ আর মনে নেই সেইসব

বিপদগ্রস্ত মনে হচ্ছে নিজেকে। প্রকান্তরে বাঘ কিংবা বানরের প্রেমহীনতাও ছুয়ে যাচ্ছে আজ। নাতিদীর্ঘ নদীকে সমুদ্র মনে করার কোনো কারণ নেই। তারপরও চোখের সামনেই বড় হয়ে যাচ্ছে পাতিকায় বিড়াল। নিরীহ মানসিকতা ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে।
ভেঙে ফেলছে ডানপিটে ছেলের ফালতু কোলাহল। হলভর্তি লোকেরা যখন খুবছে তালি ফাটাচ্ছে, তবু বিজ্ঞান কিংবা অপবিত্র ঘোড়ার কাউকেই প্রয়োজন নেই। তেমনিই প্রয়োজনহীন আমি তুমার কাছে। চাও বুঝি আরো প্রেম? নিখাত সলীলে ভেজা। গভীর আর উচ্চাঙ্গের দ্যোতনা?
ফাতনা ছাড়াই মাছ ধরার বায়না চেপেছে আজ। যদিও মাছেরা বরাবরই মাটি খায়, অথবা খায় না। কে জানে, আমি তো মাছ নই। কোনো কালেই ছিলাম না আপাদমস্তক এক বুনো ঘোড়া, মিষ্টি বাঘ অথবা ডানাবালা সবিতা।
সেই সব পুরনো অভিমান, কপট রাগে ভেঙে ফেলা সম্পর্কের সূতো আজ আর মনে নাই। কে যেন নাচিয়েছিল। ফালতু অভিমানে খুব বেশি কি কষ্ট পেয়েছিলাম। অতি মানব সাজার আকাঙ্ক্ষা তখনো ছিল। আজ আর নাই সেইসব পাগলামা।

১৪ মার্চ ২০০৭

ঘাস ফড়িংয়ের ছেলে

হায়, মরা বাঘ
ঘাস ফড়িংয়ের ছেলে,
পিথুহটার্ড রাত্রির কাছে কী চাওয়ার আছে
বেনামি সর্বনাশ আর ঘৃতাহুতি ছাড়া?
তাই সেইসব নিরীহ বাচ্চার দলে
আচ্ছা করে দৌড়ঝাপ সেরে
একা একা ঘরে ফেরার যাতনা
নিয়েই ঘরে ফিরি। বৈচিত্রবিহীন প্রতিদিন।
ডাইনোশুয়োর কিংবা কিংকংয়ের হাতে পাতে ধরে
মূল্যবান যুযুৎসুগুলো শিখে নিলে পরে
তবু ভাস্কো দা গামামার্কা ঘুষি ফাটাতে পারতাম
নোনাধরা দেয়ালে। যেহেতু সেসব শেখা হয়নি
তাই আঙুলের ডগা দিয়ে দেয়াল ঘষাই সার।
হে মরা বাঘ ঘাস ফড়িংয়ের ছেলে,
বলো, পিথুহুটার্ড রাত্রির কাছে কী চাইবার আছে
এছাড়া?

৬ মার্চ ২০০৭

বাঘ

একদিন নিকারাগুয়ার পথে একটা বাঘ দেখেছিলাম
শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছল। আমি বাঘের কাছে গিয়ে
বললাম, ভাই বাঘ..নুনুটা দেখাও তো?
তিনি আমাকে নুনুটা দেখাতে পারলেন না।
অতএব মনে রাখবে নুনু ছাড়া কোনো বাঘ হয় না।
যদি ভাঙচুরের রাজত্বে তুমার মতি থাকে
তবে ততি সেজে বসে থাকলে মানুষ তুমার নিকারাগুয়া দূরে থাক, মানাগুয়াও মারবে না।

২০ জানুয়ারী ২০০৭

পাখি

বস্তুত পাখিদের সম্পর্কে কিছুই জানি না
তারা ভাত দিয়ে দুধ কলা খায়
না দুধ দিয়ে ভাত কলা
ফলাহার করে কি-না তাও জানি না।
এই না জানার অসুখ নিয়ে দীর্ঘদিনের এক
বিসুখে পড়েছি...কিসু খেতে ভালো লাগে না
ভালো লাগলেও তাহা খেতে পাই না।
বিশেষ করে নারীদের...বাড়ি বয়ে অপমান
তাই ফালতু বন্ধুদের সঙ্গে
ঘুরতে যাই নদী ধারে
হাওয়া খাই ফুরফুরে
বাটি ফিরি রাত করে
বউ কথা বলে না
কী এক অজানা অভিমানে...
মান ভাঙাতে পারি না
অলস লাগে...।
ফলে ফিরে আসি পাখিতে
কিছুই জানি না বলে
তুমুল কৌতুহলও
আছড়ে পড়ে মাটিতে
তারা ভাত দিয়ে দুধকলা খায়
না দুধ দিয়ে ভাত কলা
ডিম পাড়ে কি পারে না
নিজ বাচ্চা মারে কি মারে না
করাকরি কোথায় করে?
সমুখে না পিছনে?
ফালতু ডাল তরকারি দিয়ে
ভাত খাওয়া অব্দি কেউ কথা বলি না
না বউ না আমি।
সারা ঘরজুড়ে শুধু পাখি আর পাখি

১৮ জানুয়ারী ২০০৭

নিকিতা ভার্নিকা

কে জানে, পিযুশ নন্দীদের আমলেও প্রেম ছিল?
আরো খোলামেলা, জল ঘোলা করে খেতে হতো
ভিতরের নিকিতা ভার্নিকা...
হয়তো হোঁচট খাওয়ার ফলে নায়িকা নায়কের কোলে
হামাগুড়ি খেত, নায়কের হামিতে ডামির শরীরেও যৌবন খেলতো, বেলতো রুটি পরোটার ভেতর ঈষৎ ময়দার গুড়ি,
গুড়গুড়ি টাটিয়ে উঠলে পিযুশ নন্দী
জানালার চোখ দিয়ে শুধু ফন্দি নয় আস্ত ফিকির
নিকিতা ভার্নিকার সবুজ ঘাসের গালিচা
খুঁজতো কি?
বেলচা চালিয়ে আঙ্গুলগুলিকে ইলিবিলি কাটাতে
ছাটাতে চুল ও চিন্তার বলিরেখা জল বসন্তের দাগ
মাখন মেখে ফের প্রেম চলতো রোজ সন্ধ্যায়
যখন লোকে হারিয়ে যায় যে যার মশগুলে
ছেলেরা খেলে, মেয়েরা খেলায়,
বুড়োরা খোলা হাওয়ায় হয়তো বেড়ায়,
নয়তো জীবনকে উপভোগের নিমিত্তে
গলি ঘিপিচতে ঢুকে যায় মধুরসা আহরণে
শিহরণ...শিহরণে মত্ত তখন নিকিতা ভার্নিকা,
পিযুশ নন্দীর যাতাকলে ফাতা ফাতা করে
নিজেকে অযথা...

৯ জানুয়ারী ২০০৭

পাখিদের ডাকনাম

পাখিদের ডাক নাম আছে কিনা জানি না
জানি না সর্বনাশ কাহাকে বলে
তবে জানি বেশবাশ সাফ সুতরো রেখেও
আটকানো যায় না পাপ।
কাপ কাপ চা গিলেও তৃষ্ণা মিটে না হয়তো
কাপকাপ করলেই কি পয়দা হয় সমাধান ?
তাই পাখিদের ডাক নাম আমি জানি না,
মানি না ডাইনোশুয়োর কিংবা বিড়ালের বৃথা ফিশফাশ
সর্বনাশের ফলে বারোটা বাজলে বাজুক তেরোটা
শুধু পরোটাতে ঘি জমলেই হলো....

৫ জানুয়ারী ২০০৭

তাহিতি নদী তীরের কাহিনী

তবু তাহিতি নদীর কাহিনী জানবার
অভিলাষ জমেছিল মধুর মতো আমাদের মনে
বনে বনে যেভাবে ঘুরে বেড়ায় রঙিন হরিণ কিংবা পাখিদের ছেলে, জলের বুকে জমে থাকা লাল শাপলার মতোন মদমত্ত তুমি আমি
নিরলে অবিরল চোখাচোখি, একা কিংবা একাকী জাপ্টে ধরার তুমুল অভ্যাস
জন্মেছিল লাল শাপলার বন আর সবুজ ঘোড়ার মনে
বনে বনে ঘুরে বেড়ানোর ছলে কলে বলে কৌশলে
জড়িয়ে ধরবার সেই মনোরম দৃশ্যাবলি
ঈষৎ বকাঝকার পর ঈষৎ ভালবাসাবাসি
ঘষাঘষি ঠুসাঠুশি ঝাপাঝাপি ধাপাধাপি
ঠাপাঠাপি শেষে ঈষৎ আলসেমি পেয়ে বসলে
তাহিতি নদী তীরের কাহিনী মনে পড়ে ফের
জলভরা নয়নে নাবিক ও বেবুশ্যের শেষ চাওয়াচাওয়ি, খাওয়াখাওয়ি শেষে
আমরা উঠে পড়ি অবশেষে,
জল দিয়ে ধুয়ে নেই সমস্ত দেহ সমস্ত দৈহিক জ্বালা...
ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি বালিশে লালা

১৪ ডিসেম্বর ২০০৬

হাহ পটেমেকাস নদী

হাহ ! পটেমেকাস নদী
দাও তো তোমার ডান হাতটা
খাই বেদনার জল
ফল মূল কাঁচা লঙ্কার ঝাল
মাতাল মাতাল লাগলে
বেরিয়ে যাবো বন থেকে
হয়তো কোনো দূরস্থানে
নিশিযাপনের দিশা জানা নাই
মনে নেই আর কারো কথা
শুধু পটেমেকাস নদী আমার
একলা চলার ব্যথা।

১২ ডিসেম্বর ২০০৬

নাইট এন্ড ফাইট উরা ধুরা চটপটি হাউস

দীর্ঘ লম্ফে অনেক দূর যাওয়া যায় হয়তো
বহুদূর অসম্ভব। লাফ ঝাপ ধাপ কিংবা ট্রিপল জাম্পেরও কাম বাজে নাই। কাম বাজে নাই উড়ুপেলেন কিংবা ঘুড়ার আগে গাড়ি জুড়ে
তাই ফালতু সময় নষ্টেরই বা কি দরকার?
বরং আসো, ঝাল দিয়্যা জামাই বউ চানাচুর খাই
তাতেও যুদি না বোঝো পিথিবীর কত ঝাল
তাইলে আসো, সংসদ ভবনের স্যামকের দিকে
নাইট এন্ড ফাইট উরাধুরা চটপটি হাউসে যাই
10 ট্যাকা দিয়্যা হাফ পেলেট চটপটি নিজেকে খিলাই
তারপর ঝালে ঝোলে পাগল হয়ে বিস্তর লালা ফেলে
শুশিয়ে শাসিয়ে ফের বাটি ফিরে যাই
পিথিবীর নম্র ভুদাই ।

৯ ডিসেম্বর ২০০৬