Mittwoch, 8. Oktober 2008

পিথিবী আমোদময় নয়

একটা শান্তিপূর্ণ বিকালে অধিক আনন্দ লভিবার লাগি বাটি হইতে বাহির হইয়া হাঁটিতে লাগিলাম। দেখিলাম দূরে একখানা বন খাঁড়াইয়া আছে ঝিপঝাপ। তাহার পাশে একটা নীলরঙের নদী। নদীতে একখানা বালক নাহাইবার নুইছে। আরেকখানা বালিকা পাড়ে খাঁড়াইয়া নাহাইবার প্রস্তুতি নিতাছে। তাহার পিছনেই একটা গৃহপালিত কুকুর অযথা ভুকভুক করিতেছে।
এই শান্তিপূর্ণ দৃশ্য দেখিয়া আমার খুউব আমোদ হইল। ফলে আরো আমোদ লভিভার লোভে আমি তাহাদের সন্নিকটে উপস্থিত হইলাম। কিন্তু আমার উপস্থিতি দেখিবা মাত্র বালক নাহান বাদ দিয়া উরে পিতারে বলিয়া ঝাড়িয়া দৌড় কষাইল বন বাঁদাড় ভেদ করিয়া। বশংবদ কুকুরটিও তাহাকে অনুসরণ করিল আরো জোরেশোরে ভুক ভুক করিয়া।
কিঞ্চিত অবাক খাইলাম। বুঝিতে নাড়িলাম না উহা কী হেতু ওইভাবে দাবাড় কষাইলো। ফলে বুঝিবার তরে বালিকার আরো নিকটবর্তী হইলাম। কিছু জিজ্ঞাসিবার আগেই উহা কাঁদো কাঁদো গলায় কহিয়া উঠিল, আমি কিছু করি নাই। হেইতিই আমারে ডাইক্যা নিয়া আইছে।
বুঝিলাম পিথিবী মোটেও আমোদময় নয়।

Dienstag, 7. Oktober 2008

উঁচা পাহাড় ও নিহত ঘুড়া বিটল বানর ও আমি

কুনো এক শনিবার দুফুর বেলা
একটা উঁচা পাহাড় আর একটা নিহত ঘুড়া
বইসা বইসা গান গাইতে ছিল
আমি গান থামিয়া কইলাম,
পিলিজ আমারে এট্টু দীক্ষা দেন। খুব হেসেখেলেবেঁচেবর্তেখাই।
উহারা কইল, হাহাহাহ হাহাহাহাহ। ইহা তো খুবোই আমোদের কতা..কিন্তু আমরা যে নিতান্তই বুকাচুদা। দীক্ষা দিবার শিক্ষাই যে আমাগের নাই!
কহিলাম, তা হবে হয়তো। কিন্তু এখন আমি দীক্ষা লইতে কোথায়ই বা যাই?
উহারা ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া কহিল, তুমি উত্তরে যাউ। উখানে এক প্রগলভা নারীর বাস। উহার কাছথন দীক্ষা লইয়া লও।
চলিলাম উত্তরের পথে। হাঁটিতে হাঁটিতে কিলান্তপ্রায়
পথিমদ্যে হঠাৎ দেখা এক বিটল বানরের
কহিলাম, হে পরম ভ্রাতামার, তুমি কি কহিতে পারো অত্রাঞ্চলে বসবাসরত কুনো প্রগলভা নারীর কথা?
কুথায় তাহার সাং কুথায়ইবা সাকিন?
বিটল বানর হাতের কদলী ফুটাইতে ফুটাইতে কহিল,
খুব পারি।
অবাক মানিয়া কহিলাম, খুব পারো?!
তবে হামাক ওইস্থানে লইয়া যাও।
বিটল বানর কহিল, তাহার আগে একটা কদলী খাইয়া লও।
কহিলাম, ক্যানে ক্যানে? আমি পরিছ্রান্ত বটে, ক্ষুদার্ধ তো নই..
বিটল বানর কহিল, তাহা জানি বৈকি? কিন্তু ব্রাদার হোচিমিন,
প্রগলভা নারীর কাছে যাইবার ইহাই যে উপায়।
কহিলাম, যেমন যেমন?
বিটল বানর কৎকৎ করিয়া কদলী ভক্ষণরত অবস্থাতেই কহিল,
এট্টু পরে তুমিউ যে আমার নগাল হইয়া যাইবাগা!
তৎক্ষণাৎ বুঝিলাম, প্রগলভারা কেবলই বানর বানায়।

অপৃথিবী

তবু এই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভালো লাগে
ভালো লাগে পৃথিবীর প্রেম ও অনিশ্চয়তার ডিম ভেঙে কুসুম খাউয়া
ভালো লাগে রতিহীন গতিহীন স্মৃতিবিহীন সন্ধ্যাবেলা
গাংচিল ও সমুদ্রের সম্পর্ক মেপে সামদ্রিক হাওয়া খাউয়া
ভালো লাগে তুমাকে আমাকে এবং পরিচারকের ভালা ব্যবহারে
রাতের আহার বিহার ও কানামাছি ভো ভো খেলা
অথচ ম্যালাদিন বাদে গতরাতে
ঘুমঘোরে স্বপ্ন এসে নিয়ে গিয়েছিল
অপৃথিবীর কোনো এক অদ্ভুত গ্রামে
সেখানে লোকেরা ভাত দিয়ে দুধভাত খায়
নদী থেকে তুলে আনে মদের পাহাড়
গাংচিল গড়াতে গড়াতে বানর সাজে
লোকেরা নিঃশব্দেও হাসে না
বাসে না ভালো তুমাকে আমাকে কিংবা কাউকেও।

অসমাপ্ত

Freitag, 3. Oktober 2008

এবং পতও আইড়া কাইড়া

টোয়েন্টি নাইম খেলা শিখার পর মুনে হইল
পিথিমীতে ইয়ার চাইয়া বড় আর ভালো কুনো খেলা নাই
অথচ যেদিন তিন তাস শিকলাম
মাগীর জুড়া দিয়া মরাদোনার জুড়া মাইরা
তিনশ' ট্যাকা পকটে তুললাম
তারপর নবীনগর, তিন পেলেট ভুনাখিচুরির পর একটা বুইড়া কোকের বোতল
বিশ্বজিৎরে নিয়া শ্যাষ করার পর মুনে হইল
টুয়েন্টি নাইম কুনো খেলাই না। একটা নিস্তরঙ্গ আইড়াকাইড়া মাত্র- যা পিথিমীতে না থাকলেউ চলতো।
ইয়ার পর শিকলাম প্রেম খেলা। খেলিবার পর মুনে হইল আহা যেন মধুরসা! সর্বনাশা মধুরসা খেয়ে দাঁত লাল হলে প্রেমিকা চলিয়া যাইবার উপক্রম করে।
বলিলাম, কী ব্যাপার! কেন চলিয়া যাইবে...আমাকে ফেলে?
প্রেমিকা কিছু বলে না, শুধুই চলিয়া যাইতে থাকে
আমি পিছু ডাকি, শোনো কঙ্কা, হে কঙ্কাবতী প্রিয় প্রেমিকা আমার। কথা শোনো... মতিচ্ছন্ন হইয়ো না আর
তথাপি সে কথা শুনে না, জোরে চলিয়া যায়।
এ পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক। কিন্তু দিনকয়েক পরে
প্রেমিকারে দেখিলাম পরাণের দুস্তর লগে
বুঝিলাম, উহারা পচুর প্রেম খাচ্ছে।
খাচ্চে তো খাক, আমার অসুবিদা কুথায়?
অসুবিধা নাই জানিয়াও দেখিলাম বুকে পচুর অসুবিধা হচ্চে
অসুবিধাকে সুবিধা করিতে বুক চাপিয়া ধরিয়া
মটকা মারিয়া পড়িয়া রহিলাম যতক্ষণ না ব্যথা সারে
কিন্তু পিথিমীর কুনো একদিন পরাণের বন্ধু পাগল হইয়া কাছে আসিল। ধুনফুন নানা আলোচনা শ্যাষে কহিল, বন্ধুবর মাফ করিয়া দাও। কহিলাম, তুমি তো কুনো পাপ করো নাই? তবে মাফ মাঙ্বার কি হেতু? বলিয়া তাহাকে কুনোক্রমে খেদাইলাম।
দিনকয়েক পর দেকিলাম, পরাণের দুস্ত সত্যি সত্যি পাগল হইয়া বাটি ফিরিয়া গেল। প্রেমিকারে এবার অন্য লুকের সনে দেহা যায়।
সবকিছু বিবেচনা করিয়া আমি আমার বুক হইতে হাত হরাইয়া পকটে ঢুকাইলাম এবং তিন তাস খেলিতে বসিলাম।
হাঁসের বাচ্চার জুড়া লইয়া ব্লাইন্ডে বাইড়াবাইড়ি কইরা টেক্কা টপ কালারের নগে বাড়ি খাইয়া
এহাবারে ফকুর হইয়া গেলাম শেষরাইতে।
সকালে বিশ্বজিৎ মণিরে লইয়া নবীগর গেল খিচুরি মারতে। আমি ভুদাই হইয়া ঘরে ঢুকিতে যাইয়া চৌকাটের নগে বাড়ি খাইয়া পড়িয়া গেলাম ভাতরুমে। আর তখনই বুঝলাম, দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম এবং পতও পচুর আইড়াকাইড়া।